“কেশর” শব্দটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু এই শব্দটি কতটা বৈচিত্র্যময় অর্থ বহন করে, তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। আজ আমরা জানবো “কেশর” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত নানান তথ্য।
কেশর শব্দের অর্থ
“কেশর” একটি তৎসম শব্দ যা সংস্কৃত ‘কেশর’ থেকে এসেছে। এর অর্থ ‘চুল’ বা ‘রোম’। তবে বাংলায় ‘কেশর’ শুধু চুল বুঝায় না, এর বিভিন্ন অর্থ রয়েছে।
কেশর শব্দের বিভিন্ন অর্থ
- ফুলের অংশ: প্রথমত, ফুলের পাপড়ির মাঝখানে অবস্থিত রেণু বহনকারী সূক্ষ্ম অংশগুলোকে কেশর বলা হয়। এগুলো দুই প্রকার – পরাগকেশর এবং গর্ভকেশর।
- প্রাণীর লোম: দ্বিতীয়ত, সিংহ, ঘোড়া ইত্যাদি প্রাণীর ঘাড়ে যে লম্বা লোম থাকে তাকেও কেশর বলা হয়।
- জাফরান: তৃতীয়ত, রান্নায় ব্যবহৃত সুগন্ধি মশলা জাফরানকেও কেশর বলা হয়।
- ফুলের নাম: চতুর্থত, ‘কেশর’ দিয়ে এক প্রকারের বকুল ফুলকেও বোঝানো হয়।
কেশর শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কেশর’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- চুল
- রোম
- কেশ
- জাফরান
- পুষ্পকেশর
কেশর শব্দের ব্যবহার
কিছু বাক্যের মাধ্যমে “কেশর” শব্দটির ব্যবহার দেখানো হল:
- বকুল ফুলের কেশর সাদা রঙের হয়।
- সিংহের কেশর খুব শক্তিশালী।
- জাফরান বা কেশর দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে শরীরের জন্য উপকারী।
প্রবাদ-প্রবচন
‘কেশর’ শব্দ ব্যবহার করে কিছু প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে। যেমন:
- কেশ ধরে টানলে পড়বে: (অর্থ: ছোট কোন কারণে বড় ঝামেলা তৈরি হতে পারে।)
পরিশেষে বলা যায়, ‘কেশর’ শব্দটি একটি বহু অর্থবহ শব্দ। এর বিভিন্ন অর্থ ও ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান রাখা গুরুত্বপূর্ণ।