বাংলা ভাষার ধনী শব্দভাণ্ডারের মাঝে “কেওড়া” একটি পরিচিত নাম। এর সুগন্ধ আমাদের মন মাতায়, সাহিত্যকে করে তোলে আরো সমৃদ্ধ। এই পোস্টে আমরা “কেওড়া” শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
কেওড়া শব্দের অর্থ কি?
“কেওড়া” শব্দটির বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। কিছু প্রচলিত অর্থ হলো:
- এক প্রকার সুগন্ধিযুক্ত সাদা ফুল যা গাছে ফোটে।
- কেওড়া ফুলের নির্যাস।
- কেওড়া ফুল থেকে তৈরি সুগন্ধি পানি।
শব্দের উৎপত্তি
“কেওড়া” শব্দটি ফারসি “করাব্রিয়া” থেকে এসেছে। তবে এর তৎসম রূপ হলো “কেতকী”। প্রাকৃত ভাষায় এটি “কেঅঅ+আ” এবং হিন্দিতে “কেব্রড়া” হিসেবে পরিচিত।
কেওড়া শব্দের সমার্থক শব্দ
“কেওড়া” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- কেতকী
- গন্ধপুষ্প
- সুগন্ধী
কেওড়া শব্দের ব্যবহার
“কেওড়া” শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়:
- সাহিত্যে: কবি-সাহিত্যিকরা তাদের রচনায় “কেওড়া” ফুলের সৌন্দর্য ও সুবাসের মাধ্যমে প্রকৃতির চিত্র আঁকেন।
- ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে: পূজা-পার্বণে “কেওড়া” ফুল দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- রান্নায়: মিষ্টান্ন খাবারে সুগন্ধ আনতে “কেওড়া” জল ব্যবহার করা হয়।
- প্রসাধনী হিসেবে: “কেওড়া” জল ত্বকের জন্য উপকারী। এটি চুলে ও ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:
- মা কেওড়া ফুলের মালা গেঁথেছেন।
- রসের সাথে কেওড়া জল মেশানো হয়েছে।
প্রবাদ-প্রবচন
“কেওড়া” শব্দ নিয়ে বিভিন্ন প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে যেমন:
- কাঁটা দিয়ে কাঁটা বের করার মতো।
এই প্রবাদটির মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, কখনও কখনও একটি সমস্যার সমাধান অন্য একটি সমস্যার মাধ্যমে করতে হয়।
পরিশেষে বলা যায়, “কেওড়া” শুধু একটি শব্দ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অংশ। এর সুবাস আমাদের মন প্রাণ ঝালাই করে তোলে।