“কৃষাণ” – শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সোনালী ধানের শীষের ক্ষেত, মাটির গন্ধে ভেজা সবুজ প্রান্তর, আর কপালের ঘাম মাটিতে মিশিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া একজন মানুষের চিত্র। বাংলা ভাষায় “কৃষাণ” শব্দটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, যার মূলে রয়েছে আমাদের কৃষিপ্রধান সংস্কৃতি। এই ব্লগপোস্টে আমরা “কৃষাণ” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে জড়িত নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
কৃষাণ শব্দের অর্থ কি?
“কৃষাণ” একটি বিশেষ্য পদ যা প্রধানত তিনটি অর্থে ব্যবহৃত হয়:
- কৃষক: এটি “কৃষাণ” শব্দের সবচেয়ে প্রচলিত অর্থ। যারা জমি চাষ করে ফসল ফলান, তাদেরকে “কৃষক” বলা হয়।
- চাষি: এটি “কৃষক” এর সমার্থক শব্দ ।
- যে জমিতে লাঙ্গল দেয়: এটি “কৃষাণ” শব্দের একটি প্রাচীন এবং আক্ষরিক অর্থ বোঝায়।
“কৃষাণ” শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ “কৃষাণী” ।
কৃষাণ শব্দের উৎপত্তি
“কৃষাণ” শব্দটি সংস্কৃত “কৃষ” ধাতু থেকে উদ্ভূত। “কৃষ” অর্থ চাষ করা।
কৃষাণ শব্দের সমার্থক শব্দ
“কৃষাণ” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- চাষি
- ভূমিজ
- কৃষিজীবী
- খামারওয়ালা
- রাইয়ত
কৃষাণ শব্দের ব্যবহার
কিছু উদাহরণ:
- “বাংলার কৃষাণের জীবন অনেক কষ্টের।”
- “কৃষাণরা আমাদের দেশের অন্নদাতা।”
- ” কৃষাণদের কল্যাণে সরকার নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।”
কৃষাণ শব্দ ব্যবহার করে কিছু প্রবাদ-প্রবচন:
- কৃষাণের ঘরে ভাত হয় না, কিন্তু শহর খায়। (অর্থ: কৃষকরা যদিও খাদ্য উৎপাদন করেন, তারা সবসময় পরিপূর্ণ ভাবে তার ফলাফল ভোগ করতে পারেন না।)
- কৃষাণের বেটা করে কি না করে কি, পেট ভরে ভাত খায়। (অর্থ: কৃষিকাজ যদিও কষ্টসাধ্য, তবুও এটি পরিশ্রমী মানুষদের খাদ্য ও জীবিকা দেয়।)
পরিশেষে বলা যায়, “কৃষাণ” শব্দটি শুধুমাত্র একটি পেশা বোঝায় না, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জীবনধারার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।