মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। আর এই সমাজ জীবনে আমরা একে অপরের সাথে নানাভাবে জড়িত। সুখে-দুঃখে পাশে থাকি, একে অপরকে সাহায্য করি। কিন্তু কিছু মানুষ থাকে যারা অন্যের উপকারের কথা ভুলে যায়, এমনকি কখনো কখনো উপকারীর প্রতি অকৃতজ্ঞ আচরণ করে। এই ধরনের আচরণকে “কৃতঘ্নতা” বলা হয়।
কৃতঘ্ন শব্দের অর্থ কি?
“কৃতঘ্ন” একটি বিশেষণ পদ, যা দিয়ে এমন ব্যক্তিকে বোঝানো হয় যারা অন্যের উপকারের কথা স্বীকার করে না, বরং তাদের প্রতি অনুপকার করে।
কৃতঘ্ন শব্দের ব্যুৎপত্তি
“কৃতঘ্ন” শব্দটি সংস্কৃত “কৃত” এবং “ঘ্ন” এই দুটি ধাতু থেকে এসেছে। “কৃত” অর্থ করা বা কৃতজ্ঞতা এবং “ঘ্ন” অর্থ হত্যা করা বা বিনষ্ট করা। অর্থাৎ কৃতঘ্ন ব্যক্তি তার উপকারীর কৃতজ্ঞতাকে হত্যা করে।
কৃতঘ্ন শব্দের সমার্থক শব্দ
- নিরুপকারী
- অকৃতজ্ঞ
- কৃতহন্তা
- নীচ
- নিমকহারাম
কৃতঘ্ন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ
- Ungrateful
- Thankless
- Unthankful
- Ingrate
কৃতঘ্ন শব্দের ব্যবহার
কিছু বাক্যের মাধ্যমে “কৃতঘ্ন” শব্দের ব্যবহার দেখানো হলো:
- সে আমার উপকারের কথা ভুলে গিয়ে একেবারে কৃতঘ্ন হয়ে গেছে।
- যে ব্যক্তি কৃতঘ্ন হয়, সমাজে তার কোন স্থান হয় না।
- কৃতঘ্ন ব্যক্তির সাথে কোন সম্পর্ক রাখা উচিত নয়।
কৃতঘ্নতা সম্পর্কে কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কাকে বলে কাল সাপের খেলা, খেলা দেখে ডাকে ডালা।
- যার পায়ের জুতা নাই, তার মুখে ঘি কেন?
উপসংহার
কৃতজ্ঞতা একটি মহৎ গুণ। আর কৃতঘ্নতা একটি জঘন্য অপরাধ। যে ব্যক্তি কৃতঘ্ন, সে মানুষ রূপী পশু। তাই আমাদের সকলের উচিত কৃতজ্ঞ হওয়া এবং কৃতঘ্নতা থেকে বিরত থাকা।