‘কুড়ি’ শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু এই শব্দটির একটি অপ্রচলিত অর্থ রয়েছে, যা আজকের প্রজন্মের কাছে তেমন পরিচিত নয়। আজ আমরা ‘কুড়ি’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।
‘কুড়ি’ শব্দের অর্থ কি?
‘কুড়ি’ শব্দটি প্রধানত দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়:
- একটি সংখ্যা, যা বিশ-এর পরে এবং বাইশ-এর আগে আসে। ইংরেজিতে একে বলা হয় “Twenty”.
- একটি রোগের নাম, যা আজকাল ‘কুষ্ঠ’ নামে পরিচিত। ইংরেজিতে একে বলা হয় “Leprosy”.
কুড়ি শব্দের উৎপত্তি
‘কুড়ি’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত ‘কুষ্ঠ’ শব্দ থেকে। ‘কুষ্ঠ’ থেকে ‘কুড়’ এবং ‘ই’ যুক্ত হয়ে ‘কুড়ি’ শব্দের উদ্ভব।
‘কুড়ি’ শব্দের ব্যবহার
‘কুড়ি’ শব্দটির ব্যবহার বর্তমানে ‘কুষ্ঠ’ রোগের পরিবর্তে অনেক কম। তবে গ্রামাঞ্চলে এবং কিছু প্রবাদ-প্রবচনে শব্দটি এখনও ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
‘কুড়ি’ শব্দের কিছু ব্যবহারের উদাহরণ:
- “পেটে তোমার পিলে হবে, কুড়ি কুষ্ঠি মুখে” – (কাজী নজরুল ইসলাম)
- “কার বহু বেটি কারে দিনু ভেটি যে বসে সে হবে কুড়ী” – (ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর)
‘কুড়ি’ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কুড়ি’ শব্দের সমার্থক শব্দ হলো ‘কুষ্ঠ’।
‘কুড়ি’ শব্দ নিয়ে কিছু তথ্য
- ‘কুড়ি’ শব্দটি বিশেষ্য পদ।
- ‘কুড়ি’ শব্দটি পুংলিঙ্গ এবং স্ত্রীলিঙ্গ উভয় অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে।
‘কুড়ি’ শব্দটি একটি প্রাচীন বাংলা শব্দ। আজকের প্রজন্মের কাছে এই শব্দটি অপরিচিত হলেও, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।