মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করতে গেলে আমাদেরকে নানান রকম মানুষের সাথে মিশতে হয়। কারো সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো, কারো সাথে আবার বিরোধ তৈরি হয়। এই বিরোধের জায়গা থেকেই আমরা প্রায়ই নানান নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করে থাকি, যার মধ্যে “কুৎসা” অন্যতম। আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো কুৎসা শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানান তথ্য।
কুৎসা শব্দের অর্থ কি?
সহজ বাংলায় বলতে গেলে, কুৎসা অর্থ হলো নিন্দা করা, দোষ ধরা অথবা কলঙ্ক রটানো। যখন আমরা কারো সম্পর্কে মিথ্যা অথবা অশোভন কথা বলি, তার নামে খারাপ প্রচার চালাই, তখন আমরা আসলে তাকে কুৎসা করি।
কুৎসা শব্দের সমার্থক শব্দ
কুৎসা শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- নিন্দা
- দোষারোপ
- পরনিন্দা
- আলোচনা
- কুটকথা
- অপবাদ
কুৎসা শব্দের ব্যবহার
কুৎসা শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
- রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে।
- সৎ ব্যক্তি কখনও কারও কুৎসা করে না।
- অন্যের কুৎসা শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
কুৎসা শব্দ সম্পর্কে কিছু তথ্য
- পদের নাম (বাংলা): বিশেষ্য
- পদের নাম (ইংরেজি): Noun
- ইংরেজি অর্থ: Slander, defamation, calumny
কুৎসা শব্দের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বাংলা শব্দ
- কুৎসন: নিন্দাকরণ, নিন্দন
- কুৎসাকারী: নিন্দক, দোষ কীর্তনকারী
- কুৎস্য: নিন্দা বা অপবাদের যোগ্য
প্রবাদ-প্রবচন
“যারা অন্যের কুৎসা করে তারা আসলে নিজেদের ক্ষুদ্রতা প্রকাশ করে।”
কুৎসা করা নেতিবাচক এবং অনৈতিক কাজ। একজন পরিপক্ক এবং সুশীল মানুষ হিসেবে আমাদের উচিত কারও কুৎসা না করে তার ভালো গুণগুলোর প্রশংসা করা।