বাংলা ভাষা শব্দার্থের সমুদ্র। এই সমুদ্রে এমন অনেক শব্দ আছে যেগুলোর অর্থ আমরা জানি না, আবার এমন অনেক শব্দ আছে যেগুলোর অর্থ জানলেও তার সঠিক প্রয়োগ সম্পর্কে অজ্ঞ। ‘কুবক্তা’ তেমনই একটি শব্দ। আজকের আলোচনায় আমরা জানবো ‘কুবক্তা’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানান তথ্য।
কুবক্তা শব্দের অর্থ কি?
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ‘কুবক্তা’ হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ভালো বক্তৃতা করতে পারেন না। যার বক্তৃতা শ্রুতিমধুর নয়, বরং শ্রোতাদের কাছে বিরক্তিকর।
‘কুবক্তা’ শব্দের উৎপত্তি
‘কুবক্তা’ শব্দটি তৎসম। এটি দুটি সংস্কৃত শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: ‘কু’ এবং ‘বক্তা’। ‘কু’ অর্থ খারাপ, নিকৃষ্ট এবং ‘বক্তা’ অর্থ বক্তৃতা প্রদানকারী। সুতরাং, ‘কুবক্তা’ হল খারাপ বক্তৃতা প্রদানকারী ।
কুবক্তা শব্দের সমার্থক শব্দ
কুবক্তা শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- অনর্গলবক্তা
- বকবকুম
- পাপীয়া
- কটুভাষী
কুবক্তা শব্দের ব্যবহার
কিছু উদাহরণ দেওয়া হল যেখানে ‘কুবক্তা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে:
- তার বক্তৃতা এতটাই বিরক্তিকর ছিল যে সকলেই তাকে ‘কুবক্তা’ বলে ডাকতো।
- একজন ভালো বক্তা কিভাবে ‘কুবক্তা’ হয়ে যেতে পারেন, তা আমার বোধগম্য নয়।
‘কুবক্তা’ শব্দ সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা ভাষায় ‘কুবক্তা’ শব্দ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ কোন প্রবাদ-প্রবচন না থাকলেও, ‘বাক্য’ বা ‘বক্তৃতা’ সম্পর্কে অনেক প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে। যেমন:
- “বাক্যে বিনয় করে, ধনে গরীব হয়।”
- “মুখ হল বড় শত্রু।”
এই প্রবাদগুলি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক এবং নিয়ন্ত্রিত হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায়, ‘কুবক্তা’ শব্দটি নেতিবাচক অর্থ বহন করে। একজন সুনাগরিক হিসেবে আমাদের উচিত সকলের সাথে ভদ্র এবং শ্রদ্ধার সাথে কথা বলা।