‘কুপুরুষ’ শব্দটি বাংলা ভাষায় নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যার মধ্যে পুরুষোচিত গুণাবলীর অভাব রয়েছে। এই লেখায়, আমরা ‘কুপুরুষ’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করব।
কুপুরুষ শব্দের অর্থ কি?
‘কু’ এবং ‘পুরুষ’ এই দুটি ধাতু মিলে ‘কুপুরুষ’ শব্দটি গঠিত। এটি একটি বিশেষ্য এবং বিশেষণ — উভয় পদেই ব্যবহার করা যায়।
বিশেষ্য হিসেবে কুপুরুষ শব্দের অর্থ:
- পুরুষোচিত গুণহীন ব্যক্তি।
- কুশ্রী বা কুচরিত্র ব্যক্তি।
- কাপুরুষ ব্যক্তি।
বিশেষণ হিসেবে কুপুরুষ শব্দের অর্থ:
- পুরুষের লক্ষণশূন্য; পৌরুষহীন।
- অসচ্চরিত্র বা কুশ্রী।
- কাপুরুষ।
কুপুরুষ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কুপুরুষ’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- নীচ
- খল
- দুর্বৃত্ত
- অধম
- কাপুরুষ
- ভীরু
কুপুরুষ শব্দের ব্যবহার
কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো যেখানে ‘কুপুরুষ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে:
- “কুপুরুষের কাছে নারী কখনো নিরাপদ নয়।”
- “যে নিজের ভুল স্বীকার করে না, সে একজন কুপুরুষ।”
- “কুপুরুষেরাই অন্যের পিঠ দিয়ে তীর মারে।”
কুপুরুষ শব্দ সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা ভাষায় ‘কুপুরুষ’ শব্দ সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে। যেমন:
- কুপুরুষের সাথে বন্ধুত্ব করা বিষধর সাপ পোষার মত।
- যেখানে শক্তি নেই, সেখানে কুপুরুষ সাহসী।
- কুপুরুষের হাতে অস্ত্র দিলে সে নিজেই ধ্বংস হয়।
পরিশেষে বলা যায়, ‘কুপুরুষ’ শব্দটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ যা মানুষের খারাপ গুণাবলী প্রকাশ করে। এই শব্দটির সঠিক ব্যবহার আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করে।