‘কুনীতি’ শব্দটি বাংলা ভাষায় নেতিবাচক অর্থ বহন করে, যা সাধারণত অনৈতিক, অসৎ বা ক্ষতিকারক কাজকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। রাজনীতি, সমাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও কুনীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ‘কুনীতি’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, সমার্থক শব্দ এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন নিয়ে আলোচনা করবো।
কুনীতি শব্দের অর্থ
‘কুনীতি’ শব্দটি তৎসম শব্দ, যা ‘কু’ এবং ‘নীতি’ এই দুটি ধাতু থেকে এসেছে। ‘কু’ অর্থ খারাপ, অশুভ, নীচ; এবং ‘নীতি’ অর্থ নিয়ম, ব্যবস্থা, আচরণ। সুতরাং, ‘কুনীতি’ শব্দের সরল অর্থ হলো খারাপ নীতি, অসৎ আচরণ, নীতি বিরুদ্ধ কাজ।
কুনীতি শব্দের সমার্থক শব্দ
কুনীতি শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- দুর্নীতি
- অন্যায়
- অসততা
- ฉ้อโกง
- পাপাচার
- খেয়ানত
- বিশ্বাসঘাতকতা
কুনীতি শব্দের ব্যবহার
কুনীতি শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হতে পারে।
- রাজনৈতিক কুনীতি: ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি।
- সামাজিক কুনীতি: যৌতুক প্রথা, বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন ইত্যাদি।
- ব্যবসায়িক কুনীতি: জালিয়াতি, মুনাফা লোভে ভেজাল পণ্য বিক্রি, কর ফাঁকি ইত্যাদি।
কুনীতি শব্দ সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- যারে দেখো তারে বেল, না হয় কলা দিয়ে ভোঁদড়।
- চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
- যেমন কর্ম তেমন ফল।
উপসংহার: কুনীতি একটি ঘৃণ্য অপরাধ। এটি সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। আমাদের সকলের উচিত কুনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং একটি সুন্দর ও নিরাপদ সমাজ গড়ে তোলার জন্য কাজ করা।