আধ্যাত্মিক জগতের এক রহস্যময় শব্দ হলো কুণ্ডলিনী। বহু শতাব্দী ধরে তান্ত্রিক সাধকদের কাছে পূজনীয় এই শব্দটি মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অপার সম্ভাবনার প্রতীক। এই পোস্টে আমরা ‘কুণ্ডলিনী’ শব্দটির গভীরে যাত্রা করবো, এর অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে জড়িত আধ্যাত্মিক তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করবো।
কুণ্ডলিনী শব্দের অর্থ কি?
‘কুণ্ডলিনী’ মূলত একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ “কুণ্ডলীকৃত” বা “সর্পিল”। তন্ত্রশাস্ত্র অনুসারে, এটি মেরুদণ্ডের গোড়ায় অবস্থিত এক সুপ্ত শক্তি, যা জাগ্রত হলে মানুষের মধ্যে অলৌকিক ক্ষমতা প্রকাশিত হতে পারে।
কুণ্ডলিনী শব্দের সমার্থক শব্দ
কুণ্ডলিনী শক্তিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে, যেমন:
- মূলাশক্তি
- আদ্যাশক্তি
- সর্পশক্তি
- জীবনীশক্তি
কুণ্ডলিনী শব্দের ব্যবহার
কুণ্ডলিনী শব্দটি প্রধানত তন্ত্রশাস্ত্র, যোগশাস্ত্র, এবং আধ্যাত্মিক আলোচনায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, বাংলা সাহিত্যেও এই শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে আধ্যাত্মিক বা দার্শনিক রচনায়।
কুণ্ডলিনী সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- বাংলা উচ্চারণ: কুন-ডো-লি-নি
- পদের নাম: বিশেষ্য (Noun)
- বাংলা অর্থ: মেরুদণ্ডের গোড়ায় অবস্থিত সুপ্ত আধ্যাত্মিক শক্তি
- ইংরেজি অর্থ: A latent spiritual energy believed to lie coiled at the base of the spine.
কুণ্ডলিনী সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
বাংলায় কুণ্ডলিনী সম্পর্কে বিভিন্ন প্রবাদ প্রচলিত আছে। যেমন:
- “যার কুণ্ডলিনী জাগে, সেই জ্ঞানী হয়।”
- “কুণ্ডলিনী জাগরণ মানেই ঈশ্বর সাধনার শুরু।”
কুণ্ডলিনী একটি গভীর ও রহস্যময় বিষয়। এই পোস্টে আমরা এর প্রাথমিক ধারণা নিয়ে আলোচনা করলাম। আশা করি, এই তথ্য আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করবে এবং আধ্যাত্মিক জগত সম্পর্কে আরো জানতে উৎসাহিত করবে।