বাংলা ভাষার বিশাল জগতে, প্রতিটি শব্দের রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস, অর্থ এবং ব্যবহার। কিছু শব্দ আমাদের কাছে খুবই পরিচিত, আবার কিছু শব্দ অপরিচিত। ‘কুঠ’ তেমনই একটি শব্দ যা হয়তো আমরা সকলে প্রতিদিন ব্যবহার করি না, তবে বাংলা সাহিত্য এবং লোকজ সংস্কৃতিতে এর একটা বিশেষ স্থান আছে। আজ আমরা জানবো ‘কুঠ’ শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত।
কুঠ শব্দের অর্থ
‘কুঠ’ শব্দটি মূলত একটি রোগের নাম। এটি কুষ্ঠ রোগ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
কুঠ শব্দের উৎপত্তি
‘কুঠ’ শব্দটি তৎসম শব্দ ‘কুষ্ঠ’ থেকে এসেছে।
- সংস্কৃত: কুষ্ঠ
- পালি: কুট্ঠ
- বাংলা: কুঠ
কুঠ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কুঠ’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- কুষ্ঠ
- গরল
- জরাঢ়
কুঠ শব্দের ব্যবহার
‘কুঠ’ শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়।
- বিশেষ্য হিসেবে: যেমন, “কুঠ এক ভয়াবহ রোগ।”
- বিশেষণ হিসেবে: যেমন, “সে একজন কুঠিয়া মানুষ”।
কুঠ শব্দ ব্যবহার করে গঠিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- যার ঘরে কুঠ, তার ঘরে সোনা-রূপার কোনো দাম নেই।
এই প্রবাদটির মাধ্যমে বোঝানো হয় যে, যে পরিবারে কুষ্ঠ রোগী থাকে, সেই পরিবারের অন্যান্য সকল সম্পদ, সম্মান এবং মর্যাদা নষ্ট হয়ে যায়।
‘কুঠ’ শব্দটি যদিও একটি রোগের নাম বোঝায়, তবুও এটি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই ধরণের আরও অনেক শব্দ আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে।