বাংলা ভাষার বিশাল জগতে এমন অনেক শব্দ লুকিয়ে আছে যেগুলোর সাথে আমরা খুব একটা পরিচিত নই। কিন্তু এই অচেনা শব্দগুলোই আমাদের ভাষাকে করে তোলে আরও সমৃদ্ধ। আজ আমরা এমনই একটি শব্দের সাথে পরিচিত হবো, যে শব্দটি হলো “কুক্রিয়া”।
কুক্রিয়া শব্দের অর্থ কি?
“কুক্রিয়া” শব্দটি মূলত একটি বিশেষণ এবং বিশেষ্য, উভয়ভাবেই ব্যবহৃত হয়। বিশেষণ হিসেবে এর অর্থ হলো “দুষ্কর্মকারী” অথবা “কুকর্মা”। অন্যদিকে বিশেষ্য হিসেবে “কুক্রিয়া” বলতে বোঝায় “মন্দকার্য”।
কুক্রিয়া শব্দের উৎপত্তি
“কুক্রিয়া” শব্দটি একটি তৎসম শব্দ যা সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। “কু” এবং “ক্রিয়া” – এই দুটি ধাতু থেকে এই শব্দের উৎপত্তি। “কু” ধাতুর অর্থ হলো “মন্দ” এবং “ক্রিয়া” ধাতুর অর্থ হলো “কাজ”। অর্থাৎ “কুক্রিয়া” শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় – “মন্দ কাজ”।
কুক্রিয়া শব্দের ব্যবহার
আধুনিক বাংলা ভাষায় “কুক্রিয়া” শব্দটি খুব একটা ব্যবহৃত হয় না, তবে সাহিত্যে, বিশেষ করে ধর্মীয় গ্রন্থে এবং পুরাণে এই শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
উদাহরণ:
- মানুষের কুক্রিয়ার ফলেই পৃথিবীতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
- রামায়ণে রাবণের কুক্রিয়ার বর্ণনা পাওয়া যায়।
কুক্রিয়া শব্দের সমার্থক শব্দ
“কুক্রিয়া” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- দুষ্কর্ম
- অপকর্ম
- পাপ
- অন্যায়
- অধর্ম
কুক্রিয়া শব্দের সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
- যায় বিনাশে তাকে দে মা কালেশ্বরী
- কুকর্মের ফল ভোগ করতে হয়
“কুক্রিয়া” শব্দটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, জীবনে সবসময় সৎ এবং ন্যায়ের পথে চলা উচিত। কারণ মন্দ কাজের ফল কখনোই ভালো হয় না।