কুঁড়া শব্দের অর্থ কি | কুঁড়া শব্দের সমার্থক শব্দ | কুঁড়া শব্দের ব্যবহার

“ধুইয়া গঙ্গার জলে পূর্ণ কৈল কুঁড়া” – এই চরণের মাধ্যমে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর যেমন কুঁড়া শব্দটি ব্যবহার করেছেন, তেমনি আমরাও আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কুঁড়া শব্দটির সাথে পরিচিত। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন কুঁড়া শব্দটির আসল অর্থ কি? অথবা কুঁড়া শব্দটি কিভাবে এসেছে? আজকের এই পোস্টে আমরা কুঁড়া শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।

কুঁড়া শব্দের অর্থ

কুঁড়া একটি বিশেষ্য পদ। বাংলা ভাষায় কুঁড়া শব্দটির অর্থ হলো তুষের কণা অথবা তুষের নিচে চালের গায়ে যে পাতলা আবরণ থাকে। ধান থেকে চাল বের করার পর যে অংশটি অবশিষ্ট থাকে তাকে তুষ বলা হয় এবং তুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ হলো কুঁড়া।

কুঁড়া শব্দের উৎপত্তি

কুঁড়া শব্দটির তৎসম রূপ হলো “কণ্ডন”। কণ্ডন শব্দ থেকেই ক্রমশ পরিবর্তিত হয়ে কুঁড়া শব্দের উৎপত্তি।

কুঁড়া শব্দের সমার্থক শব্দ

কুঁড়া শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ রয়েছে। যেমন:

  • খুদ
  • ভুসি
  • কুঁড়ো

কুঁড়া শব্দের ব্যবহার

কুঁড়া শব্দটি দিয়ে বিভিন্ন প্রবাদ-প্রবচন, রূপক এবং বাক্য গঠন করা যায়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:

কুঁড়া দিয়ে গঠিত প্রবাদ-প্রবচন

  • অতি লোভে তিঁতিri মাছও কুঁড়োতে গণ্ডুষ

কুঁড়া দিয়ে গঠিত বাক্য

  • গরু কুঁড়া খেতে খুব পছন্দ করে।
  • চাল থেকে কুঁড়া আলাদা করতে হবে।

উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে কুঁড়া শব্দটির অর্থ, উৎপত্তি, সমার্থক শব্দ এবং ব্যবহার সম্পর্কে আশা করি স্পষ্ট একটি ধারণা পেয়েছেন।

See also  কুলঙ্গি শব্দের অর্থ কি | কুলঙ্গি শব্দের সমার্থক শব্দ | কুলঙ্গি শব্দের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *