কুঁচকিকন্ঠা শব্দের অর্থ কি | কুঁচকিকন্ঠা শব্দের সমার্থক শব্দ | কুঁচকিকন্ঠা শব্দের ব্যবহার

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নানান রকম শব্দের ব্যবহার করে থাকি। কিছু শব্দ খুব পরিচিত, আবার কিছু শব্দ এমনও আছে যাদের অর্থ আমরা অনেকেই জানি না। “কুঁচকিকন্ঠা” তেমনি একটি শব্দ যা হয়তো আপনি আগে কখনো শুনেছেন, নয়তো শুনেননি। আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো “কুঁচকিকন্ঠা” শব্দটির অর্থ কি, এর ব্যবহার কিরূপ এবং এর সাথে সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য।

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দের অর্থ

বাংলা ভাষায় ‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দটি একটি বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে যারা খুব বেশি খায়, এত বেশি খায় যে তাদের খাবার গলা পর্যন্ত উঠে আসে। সহজ ভাষায়, যাদের খাওয়ার প্রতি অত্যধিক লোভ থাকে তাদের ‘কুঁচকিকন্ঠা’ বলা হয়।

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দের উৎপত্তি

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দটি দুটি পৃথক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: “কুঁচকি” এবং “কন্ঠ”। “কুঁচকি” শব্দটির অর্থ “পেট” বা “উদর”, এবং “কন্ঠ” শব্দটির অর্থ “গলা”। সুতরাং, “কুঁচকিকন্ঠা” শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় “যার খাবার পেট থেকে গলা পর্যন্ত ভরা”।

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দের ব্যবহার

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দটি সাধারণত মুখের ভাষায় বেশি ব্যবহৃত হয়। লিখিত বাংলায় এই শব্দটির ব্যবহার তুলনামূলক কম হলেও, বিভিন্ন সাহিত্যকর্মে এই শব্দটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ:

  • “তোমার এই কুঁচকিকন্ঠা ছেলেটাকে আমার সাথে পাঠিও না।”
  • “ও তো ছোটবেলা থেকেই কুঁচকিকন্ঠা, খেতে বসলে ওকে থামানো যায় না।”

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দের সমার্থক শব্দ

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:

  • পেটুক
  • খাদ্যলোভী
  • অতিভোজী
  • জঠরান্ত্র

উপসংহার

‘কুঁচকিকন্ঠা’ শব্দটি বাংলা ভাষার একটি অনন্য এবং অর্থবহ শব্দ। এই ধরণের শব্দ আমাদের ভাষার ধনী ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যের পরিচয় ব্যক্ত করে।

See also  কার্ষাপণ শব্দের অর্থ কি | কার্ষাপণ শব্দের সমার্থক শব্দ | কার্ষাপণ শব্দের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *