আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো ‘কীলকলিপি’ শব্দ। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে এই লিখন পদ্ধতির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। আজ আমরা ‘কীলকলিপি’ শব্দ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
কীলকলিপি শব্দের অর্থ কি?
‘কীলকলিপি’ শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: “কীলক”+“লিপি”। ‘কীলক’ অর্থ ছোট ছোট কীল বা তীরের ফলা এবং ‘লিপি’ অর্থ লেখা। অর্থাৎ, ছোট ছোট কীল বা তীরের ফলার ন্যায় দাগ কাটার মাধ্যমে যে লিখন পদ্ধতি ব্যবহার করা হত তাকে বলা হয় ‘কীলকলিপি’।
কীলকলিপি শব্দের সমার্থক শব্দ
কীলকলিপির সমার্থক শব্দ হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি:
- তীর্যকলিপি
- ফলকলিপি
- ক্যুনিফর্ম লিপি (ইংরেজি: Cuneiform)
কীলকলিপি শব্দের ব্যবহার
কীলকলিপি শব্দটি প্রধানত প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনায় ব্যবহৃত হয়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
- মেসোপটেমিয়ার অধিবাসীরা কাদামাটির পাটার উপর কীলকলিপিতে লেখালেখি করত।
- সুমেরীয় সভ্যতার অনেক তথ্য আমরা কীলকলিপি থেকে জানতে পেরেছি।
- প্রত্নতাত্ত্বিকরা কীলকলিপির মাধ্যমে অতীতের অনেক অজানা তথ্য উন্মোচন করেছেন।
কীলকলিপি শব্দ সম্পর্কে কিছু তথ্য
- বাংলা উচ্চারণ: কিলক্লিপি
- পদের নাম: বিশেষ্য (Noun)
- বাংলা অর্থ: তীরের ফলার ন্যায় দাগ কেটে লেখার পদ্ধতি
- ইংরেজি অর্থ: Cuneiform
প্রাচীন সভ্যতা ও তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে হলে ‘কীলকলিপি’ শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লিখন পদ্ধতি মানব সভ্যতার একটি অনন্য উদ্ভাবন।