আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষা শব্দার্ণব। এর মাঝে লুকিয়ে আছে অসংখ্য অজানা শব্দ, যাদের অর্থ ও ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। এমনই একটি শব্দ হল “কীর্ণ”। আজ আমরা জানবো “কীর্ণ” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এর সাথে সম্পর্কিত নানান তথ্য।
কীর্ণ শব্দের অর্থ
“কীর্ণ” একটি বিশেষণ পদ। এটি “কীর্তন” শব্দ থেকে এসেছে। “কীর্ণ” শব্দের অর্থ “কীর্তনকারী” অথবা “গুণ বা মহিমা প্রচারক”। যে ব্যক্তি কীর্তন করে, অর্থাৎ ঈশ্বরের গুণগান করে, তাকে “কীর্ণ” বলা হয়।
কীর্ণ শব্দের ব্যবহার
আধুনিক বাংলা ভাষায় “কীর্ণ” শব্দটি খুব একটা ব্যবহৃত হয় না। তবে প্রাচীন সাহিত্যে এবং ধর্মীয় গ্রন্থে এই শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
উদাহরণ:
- “সুমধুর কণ্ঠে কীর্ণ গাইছে হরিগুন গান”। – এখানে “কীর্ণ” শব্দটি দিয়ে ঈশ্বরের গুণানুকীর্তনকারী ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে।
কীর্ণ শব্দের সমার্থক শব্দ
“কীর্ণ” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- কীর্তনকারী
- গুণানুবাদক
- প্রশংসাকারী
- গায়ক
কীর্ণ শব্দের ইংরেজি অনুবাদ
“কীর্ণ” শব্দের ইংরেজি অনুবাদ হতে পারে:
- Singer of hymns
- Praiser
- Eulogizer
কীর্ণ শব্দের উৎপত্তি
“কীর্ণ” শব্দটি সংস্কৃত “√কূত্+অক” ধাতু থেকে এসেছে।
কীর্ণ শব্দ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- পদের নাম: বিশেষণ
- বাংলা উচ্চারণ: কির্তক্
- ইংরেজি উচ্চারণ: kir-tan
পরিশেষে বলা যায়, “কীর্ণ” শব্দটি বাংলা ভাষার একটি সুন্দর এবং অর্থবহ শব্দ। যদিও আজকের দিনে এই শব্দটির ব্যবহার কমে গেছে, তবুও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ধারক হিসেবে এই শব্দটির গুরুত্ব অপরিসীম।