‘কিন্নর’ শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দেবলোকের সুরেলা গানের ধারা, অপূর্ব সুন্দর এক মুখচ্ছবি। আজ আমরা জানবো ‘কিন্নর’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এ সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
কিন্নর শব্দের অর্থ
বাংলা ভাষায় ‘কিন্নর’ শব্দটির অর্থঃ
- কিম্পুরুষ
- দেবলোকের সুকন্ঠ গায়ক
- ঘোড়ার মতো মুখ ও মানুষের মতো দেহ বিশিষ্ট স্বর্গীয় গায়ক
- বীণা বা তানপুরাবিশেষ
ইংরেজিতে ‘কিন্নর’ শব্দের অনুবাদ: Kinnara
কিন্নর শব্দের ব্যবহার
‘কিন্নর’ শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।
১. পৌরাণিক প্রেক্ষাপটে:
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে ‘কিন্নর’ শব্দটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, কিন্নরেরা স্বর্গের এক ধরণের অর্ধ-মানব, অর্ধ-ঘোটক সত্ত্বা যারা তাদের সুরেলা কণ্ঠের জন্য বিখ্যাত।
২. বাদ্যযন্ত্র:
‘কিন্নর’ শব্দটি একটি বিশেষ ধরণের বাদ্যযন্ত্রকে বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়, যা তানপুরার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
৩. রূপক অর্থে:
কখনো কখনো ‘কিন্নর’ শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয় যা দ্বারা কোন ব্যক্তির মধুর কন্ঠস্বরকে বোঝানো হয়।
কিন্নর শব্দের সমার্থক শব্দ
- কিম্পুরুষ
- গন্ধর্ব
- অপ्सরা
- সুরগায়ক
কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- “তোমার তো কন্ঠস্বর একদম কিন্নরের মত!” (তোমার কণ্ঠ খুব সুন্দর)
- “কিন্নরী বাজাচ্ছে, আর বাতাসে ভেসে আসছে মন মাতানো সুর।”
আশা করি ‘কিন্নর’ শব্দ সম্পর্কে আপনারা যথেষ্ট জ্ঞান লাভ করেছেন।