“কিঞ্জল” – শব্দটি শুনলেই মনে ভেসে ওঠে রঙিন ফুলের মধুমুগ্ধ করা সৌন্দর্য। কিন্তু শুধুই কি সৌন্দর্যের প্রতীক এই শব্দ? আসলে “কিঞ্জল” শব্দটির রয়েছে অনেক গভীর তাৎপর্য এবং বৈচিত্র্যময় ব্যবহার।
কিঞ্জল শব্দের অর্থ কি?
“কিঞ্জল” একটি তৎসম শব্দ যা “কিম্ +√জল্+অ(অচ্)” ধাতু থেকে উৎপন্ন। এর অর্থঃ
- পরাগ; পুষ্পরেণু – ফুলের মধ্যে যে অতি ক্ষুদ্র ধূলিকণা থাকে যা এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বিস্তারের মাধ্যমে প্রজননে সাহায্য করে।
- কেশর – ফুলের পুংলিঙ্গ অংশ যা পরাগ ধারণ করে।
কিঞ্জল শব্দের সমার্থক শব্দ
“কিঞ্জল” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- পুষ্পরেণু
- পরাগ
- পুষ্পধূলি
- অনুজীব
কিঞ্জল শব্দের ব্যবহার
“কিঞ্জল” শব্দটি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়।
- বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গে: উদ্ভিদবিদ্যা ও জীববিদ্যায় প্রজনন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে “পরাগ” বা “পুষ্পরেণু” -এর পরিবর্তে “কিঞ্জল” শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: মৌমাছি ফুল থেকে কিঞ্জল সংগ্রহ করে।
- সাহিত্যে: কবিতা, গান, গল্প ইত্যাদিতে প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা করতে এবং রূপক অলংকার তৈরি করতে “কিঞ্জল” শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: তোমার চোখ দুটি যেন কিঞ্জল ঝরা নীল পদ্ম।
কিঞ্জল শব্দটির সাথে সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য
- পদের নাম (বাংলায়): বিশেষ্য
- পদের নাম (ইংরেজিতে): Noun
- বাংলা উচ্চারণ: kin-jol
- ইংরেজি অর্থ: Pollen, stamen
“কিঞ্জল” শব্দটি শুধু একটি শব্দ নয়, বরং এটি বাংলা ভাষার একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের ধারক। এর মাধ্যমে আমরা প্রকৃতি, সৌন্দর্য এবং জীবনের এক অদ্ভুত অনুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ করি।