“কিঙ্কিণী” – শব্দটি শুনলেই মনে পড়ে যায় নুপুরের মধুর ঝংকার, মনে ভেসে ওঠে ধরণীতলে নৃত্যরতা অপ্সরীর ছবি। আবার কখনো বা মন্দিরের ঘন্টার ধ্বনির মতো এক অলৌকিক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। এই ছোট্ট শব্দটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে অনেক অজানা তথ্য। আজ আমরা জানবো “কিঙ্কিণী” শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত।
কিঙ্কিণী শব্দের অর্থ
“কিঙ্কিণী” শব্দটি মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত একটি বিশেষ্য পদ। বাংলা ভাষায় এই শব্দটির অর্থ হল:
- ঘুঙুর
- ঘন্টিকা
- ছোট ঘন্টা
- ক্ষুদ্র ঘন্টিকা যুক্ত কটিভূষণ বিশেষ
কিঙ্কিণী শব্দের উৎপত্তি
কিঙ্কিণী শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে বলা যায়, এটি “কিম্” ধাতু এবং “ √কণ্” ধাতুর সমাবেশে “ই(ইন্)” এবং “ঈ(ঙীপ্)” প্রত্যয় যোগে গঠিত।
কিঙ্কিণী শব্দের সমার্থক শব্দ
কিঙ্কিণী শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- ঘুঙুর
- নুপুর
- ঝুমকা
- ঘন্টা
- কিংকিণী
- খলু
কিঙ্কিণী শব্দের ব্যবহার
কিঙ্কিণী শব্দটি দিয়ে বিভিন্ন রকমের বাক্য গঠন করা যায়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
- ঠেকল কখন তোমার কাঁকন-কিঙ্কিণীতে? (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
- কটিতে কিঙ্কিণী চরণে নূপুর ধ্বনি (শেখ ফয়জুল্লাহ)
- মন্দিরের ঘন্টা ধ্বনিত কিঙ্কিণী নাদ
কিঙ্কিণী শব্দের সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- প্রাচীনকাল থেকেই নৃত্যের সাথে কিঙ্কিণী বা ঘুঙুরের ব্যবহার প্রচলিত।
- ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যে কিঙ্কিণী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- কিঙ্কিণী শব্দটি অনেক কবিতা, গান এবং সাহিত্যকর্মে ব্যবহৃত হয়েছে।
আশা করি, এই ব্লগ পোস্ট থেকে আপনারা “কিঙ্কিণী” শব্দটি সম্পর্কে স্পষ্ট একটি ধারণা লাভ করতে পেরেছেন।