‘কানড়ি’ শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। বাংলা ভাষায় এই শব্দটি মূলত স্ত্রীলোকের একধরণের চুল বাঁধার স্টাইলকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা কর্ণাটকের নারীদের মাঝে বিশেষভাবে প্রচলিত ছিল।
‘কানড়ি’ শব্দের অর্থ কি?
‘কানড়ি’ শব্দটি মূলত কর্ণাটকের নারীদের একটি ঐতিহ্যবাহী চুল বাঁধার স্টাইল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত একটি খোঁপার ধরণ, যেখানে চুলগুলো পেছনে একত্রিত করে বিশেষ ভাবে বিনুনি করে একটি গোল আকারে বাঁধা হয়।
‘কানড়ি’ শব্দের উৎস
‘কানড়ি’ শব্দটি এসেছে ‘কর্ণাট’ থেকে। কর্ণাট হলো দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের নাম যার প্রাচীন নাম ছিল কর্ণাটক। ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলের নারীদের মাঝে এই বিশেষ ধরণের খোঁপা বাঁধার রীতি প্রচলিত ছিল বলেই এই খোঁপার নাম হয় ‘কানড়ি’।
‘কানড়ি’ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কানড়ি’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- খোঁপা
- বেণী
- চুলের গোছা
- জটা
‘কানড়ি’ শব্দের ব্যবহার
‘কানড়ি’ শব্দটি প্রধানত স্ত্রীলোকের চুলের ধরণ বোঝাতে ব্যবহৃত হলেও এটি অন্য কিছু ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন:
- রূপক অর্থে: কখনও কখনও ‘কানড়ি’ শব্দটি রূপক অর্থে কোন কিছুর জটিলতা বা গোলমাল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন: “তোমার কথা শুনে তো আমার মাথায় একটা কানড়ি পাকিয়ে গেল!”
- প্রবাদ-প্রবচনে: বাংলা ভাষায় ‘কানড়ি’ শব্দটি নিয়ে অনেক প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে। যেমন: “কানড়ি খোঁপা বড়ায়ি মোর দুই তন।”
- সাহিত্যে: বাংলা সাহিত্যেও ‘কানড়ি’ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রামীণ পটভূমিকা নিয়ে লেখা কবিতা, গান, গল্প এবং উপন্যাসে এই শব্দটির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
উদাহরণ:
- তার কানড়ি খোঁপা দেখে মনে হচ্ছিল যেন সে এক রাজকন্যা।
- রাজনীতির এই কানড়ি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
‘কানড়ি’ শব্দটি একটি সুন্দর এবং অর্থবহুল বাংলা শব্দ। এটি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।