আমাদের শৈশবের স্মৃতি মনে করলে মজার কিছু শব্দ চলে আসে। ‘কাতুকুতু’ এমন একটি শব্দ যা শুনলেই মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কিন্তু এই সহজ শব্দটির পেছনে লুকিয়ে আছে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ ইতিহাস। চলুন আজ জেনে নেই ‘কাতুকুতু’ শব্দটি সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য।
‘কাতুকুতু’ শব্দের অর্থ কি?
‘কাতুকুতু’ শব্দটি মূলত অঙ্গস্পর্শ দ্বারা সৃষ্ট সুড়সুড়ি অনুভূতিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যখন কেউ আমাদের শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে, যেমন বগল, পেট, ঘাড় ইত্যাদিতে আঙুল দিয়ে হালকা করে স্পর্শ করে, তখন যে অদ্ভুত অনুভূতি এবং হাসির উদ্রেক হয়, তাকেই ‘কাতুকুতু’ বলা হয়।
‘কাতুকুতু’ শব্দের উৎপত্তি
‘কাতুকুতু’ শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন তথ্য না থাকলেও, ধারণা করা হয় এটি তৎসম শব্দ ‘কুতূ’-এর রূপান্তর।
‘কাতুকুতু’ শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কাতুকুতু’ শব্দের মতোই অনুভূতি প্রকাশ করে এমন আরও কিছু শব্দ বাংলা ভাষায় রয়েছে।
- কুতুকুতু
- গুদগুদি
- সুড়সুড়ি
‘কাতুকুতু’ শব্দের ব্যবহার
বাংলা ভাষায় ‘কাতুকুতু’ শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়।
- সরাসরি অর্থে: “আমার বগলে কাতুকুতু লাগছে।”
- রূপক অর্থে: “তার কথা শুনে আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।”
‘কাতুকুতু’ শব্দ নিয়ে কিছু প্রবাদ-প্রবচন
বাংলা ভাষায় ‘কাতুকুতু’ শব্দ নিয়ে তেমন প্রবাদ-প্রবচন না থাকলেও, শিশুদের মধ্যে প্রচলিত একটি উক্তি হল “কাতুকুতু দিলে ঘুম ভাঙে।”
‘কাতুকুতু’ শব্দটি আপাতদৃষ্টিতে খুব ছোট এবং সরল মনে হলেও, এর পেছনে রয়েছে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। এই ধরনের আরও অনেক শব্দ আমাদের ভাষার অনন্যতা ফুটিয়ে তোলে।