“মা, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে!”, “বাবা, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে!” – এই কথাগুলো বলতে বলতে যখন আমাদের গলা ধরে আসে, চোখের কোণে জল টলমল করে, তখন আমরা কাঁদোকাঁদো অবস্থায় থাকি। শব্দটা শুনেই কেমন একটা আবেগঘন পরিবেশের ঝলক চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আজ আমরা ‘কাঁদোকাঁদো’ শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
কাঁদোকাঁদো শব্দের অর্থ কি?
কাঁদোকাঁদো শব্দটি মূলত ‘কাঁদো’ শব্দের দ্বিরুক্তি। এটি একটি বিশেষণ পদ, যা কোন ব্যক্তির ক্রন্দনোম্মুখ অবস্থাকে বোঝায়। যখন কেউ কাঁদতে চায়, কিন্তু কান্না ধরে রাখার চেষ্টা করে, তখন তার অবস্থাকে কাঁদোকাঁদো বলা যেতে পারে।
কাঁদোকাঁদো শব্দের সমার্থক শব্দ
কাঁদোকাঁদো শব্দের মতো একই অর্থ প্রকাশ করে এমন কিছু শব্দ আছে। নিচে তাদের একটি তালিকা দেওয়া হলো:
- অশ্রুসিক্ত
- অশ্রুপূর্ণ
- গলা-রুদ্ধ
- ক্রন্দনোম্মুখ
- রোদনপ্রয়াসী
- কাঁদιά
কাঁদোকাঁদো শব্দের ব্যবহার
কথায় আছে, “অতি দুঃখে কাঁদোকাঁদো হাসি”। কিংবা, “শিশুটির কাঁদোকাঁদো মুখ দেখে মায়ের বুকের ভেতরটা কেমন করে ওঠে!”। এই দুটি বাক্যের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি বাস্তব জীবনে কিভাবে ‘কাঁদোকাঁদো’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
শব্দটির সাথে সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য
- বাংলা উচ্চারণ: কাঁদোকাঁদো (kãdõkãdõ)
- পদের নাম: বিশেষণ (Bengali), Adjective (English)
- বাংলা অর্থ: ক্রন্দনোম্মুখ; অশ্রুপূর্ণ; রোদনপ্রয়াসী
- ইংরেজি অর্থ: About to cry; tearful; on the verge of tears.
শব্দটির উৎপত্তি:
{(তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ) √ক্রন্দ্>(পালি) √কন্দ, (প্রাকৃত) √কংদ=(বাংলা) √কাঁদ; (তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ) ক্রন্দন>কান্দন>কাঁদন>}
‘কাঁদোকাঁদো’ শব্দটি একটি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য শব্দ। শব্দটি মনের ভিতরে এক ধরণের বিষণ্ণতা এবং করুণার রেশ নিয়ে আসে।