কাঁটাচুয়া শব্দের অর্থ কি | কাঁটাচুয়া শব্দের সমার্থক শব্দ | কাঁটাচুয়া শব্দের ব্যবহার

আমাদের আশেপাশের পরিবেশে এমন অনেক প্রাণী আছে যাদের নাম আমরা জানি না। কখনো বা জানলেও তাদের নামের অর্থ কিংবা উৎপত্তি সম্পর্কে আমাদের তেমন একটা ধারণা থাকে না। আজ আমরা কথা বলবো ‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটি নিয়ে। ‌এই অদ্ভুত নামের পেছনে লুকিয়ে আছে কি?

কাঁটাচুয়া শব্দের অর্থ কি?

‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটি মূলত দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: ‘কাঁটা’ এবং ‘চুয়া’। ‘কাঁটা’ বলতে আমরা সাধারণত ধারালো, ক্ষুদ্র, শক্ত অংশকে বুঝি, যা অনেক প্রাণীর দেহে থাকে সুরক্ষার জন্য। অন্যদিকে, ‘চুয়া’ শব্দটি ইঁদুর জাতীয় প্রাণী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, ‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায় ‘কাঁটাযুক্ত ইঁদুর’।

কাঁটাচুয়া: শজারু

হ্যাঁ, ‘কাঁটাচুয়া’ আসলে ‘শজারু’। আমরা অনেকেই জানি না যে এই ছোট্ট, কাঁটাযুক্ত প্রাণীটির আসল নাম ‘শজারু’। ‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটি মূলত বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে প্রচলিত।

শব্দের উৎপত্তি

‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটির উৎপত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা না গেলেও, ধারণা করা যায় যে শজারুর শরীরে থাকা কাঁটা এবং ইঁদুরের মতো চেহারার কারণে লোকমুখে এই নামটির প্রচলন হয়েছে।

কাঁটাচুয়া শব্দের ব্যবহার

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, ‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটি শিশুদের মুখে মুখে বেশি শোনা যায়।

কিছু প্রবাদ-প্রবচন

‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটি দিয়ে বিশেষ কোন প্রবাদ-প্রবচন না থাকলেও, শজারুকে নিয়ে আঞ্চলিকভাবে কিছু কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে।

উপসংহার

‘কাঁটাচুয়া’ শব্দটি আমাদের ভাষার একটি চমৎকার উদাহরণ। এটি প্রাণীটির চেহারার সাথে মিল রেখে তৈরি। আঞ্চলিক ভাষার এই বৈচিত্র্য আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।

See also  কাঞ্জিক শব্দের অর্থ কি | কাঞ্জিক শব্দের সমার্থক শব্দ | কাঞ্জিক শব্দের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *