আমাদের প্রিয় খাবারের তালিকায় ‘কাঁকরোল’ নামটি অত্যন্ত পরিচিত। কিন্তু এই সুস্বাদু তরকারিটির নামের উৎপত্তি, অর্থ কিংবা এর সাথে জড়িত আরও কিছু রসালো তথ্য আমাদের অনেকেরই অজানা। আজ আমরা জানবো ‘কাঁকরোল’ শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত।
কাঁকরোল শব্দের অর্থ কি?
‘কাঁকরোল’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘কর্কোটক’ শব্দ থেকে। কর্কোটক থেকে ক্রমশ অপভ্রংশ হয়ে বাংলায় এসেছে ‘কাঁকরোল’। এর অর্থ হল এক প্রকার কাঁটাযুক্ত ফল যা তরকারি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কাঁকরোল শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কাঁকরোল’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ রয়েছে। যেমন:
- কাঁকরোলী
- কর্কোটকী
- ধুন্দুলি
কাঁকরোল শব্দের ব্যবহার
‘কাঁকরোল’ শব্দটি প্রধানত তিনটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়:
- রান্নায়: কাঁকরোল একটি জনপ্রিয় তরকারি। ভাজা, ঝাল, ঘণ্ট ইত্যাদি অনেক রকম ভাবেই কাঁকরোল রান্না করা যায়।
- ঔষধ হিসেবে: কাঁকরোল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি পেটের পক্ষে ভালো, রক্ত পরিষ্কার করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
- প্রবাদ-প্রবচনে: বাংলা ভাষায় কাঁকরোল নিয়ে অনেক প্রবাদ-প্রবচন রয়েছে। যেমন, “কাঁকরোল খোসা বের করে কই?”
কাঁকরোল সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
- বাংলা উচ্চারণ: কাঁক্রোল্
- পদের নাম: বিশেষ্য
- ইংরেজি অর্থ: Pointed gourd
- বৈজ্ঞিক নাম: Trichosanthes dioica
এছাড়াও, কাঁকরোল শব্দটি ব্যবহার করে আরও অনেক শব্দ তৈরি হয়েছে। যেমন: কাঁকরোলী, কাঁকরোল ভাজা, কাঁকরোলের ঘণ্ট ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়, ‘কাঁকরোল’ শুধু একটি শব্দ নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এই শব্দটি আমাদের খাবার, ঔষধ, প্রবাদ-প্রবচনের মাধ্যমে আমাদের জীবনের সাথে মিশে আছে।