“কি কহব সজনি তাহেরি কহিনী” – বিদ্যাপতির অমর কবিতার এই পংক্তিতে লুকিয়ে আছে আজকের আলোচ্য বিষয়, ‘কহিনী’ শব্দটি। বাংলা ভাষার একটি অতি পরিচিত শব্দ ‘কহিনী’, যা আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজ আমরা জানবো ‘কহিনী’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং আরও অনেক কিছু।
কহিনী শব্দের অর্থ কি?
‘কহিনী’ হলো সংস্কৃত ‘কথন’ শব্দ থেকে উদ্ভূত একটি বিশেষ্য পদ। এর অর্থ হলো গল্প, আখ্যান, বর্ণনা ইত্যাদি।
কহিনী শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কহিনী’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলোঃ
- গল্প
- আখ্যান
- বর্ণনা
- কাহিনী
- কথা
কহিনী শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্য এবং কথোপকথনে ‘কহিনী’ শব্দটি বহুল ব্যবহৃত। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিছু উদাহরণঃ
- রবীন্দ্রনাথের ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে অনেক সুন্দর ‘কহিনী’ আছে।
- ‘রামায়ণ’, ‘মহাভারত’ ইত্যাদি মহাকাব্য আসলে দীর্ঘ ‘কহিনী’।
- ছোটবেলায় দাদুর কাছে অনেক ‘কহিনী’ শুনতাম।
কহিনী শব্দ সম্পর্কিত কিছু তথ্য
- উচ্চারণ: কহিনী (Kohini)
- পদের নাম: বিশেষ্য (Noun)
- বাংলা অর্থ: গল্প, আখ্যান, বর্ণনা
- ইংরেজি অর্থ: Story, tale, narrative
কিছু প্রবাদ-প্রবচন
‘কহিনী’ শব্দটি দিয়ে তৈরি কিছু প্রবাদ-প্রবচন হলোঃ
- কহিনী বলে কথাঃ অর্থাৎ গল্প থেকে জীবনের অনেক শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।
- কহিনীর মাঝে কথাঃ অর্থাৎ কোন কথার অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝাতে ব্যবহার করা হয়।
পরিশেষে বলা যায়, ‘কহিনী’ শব্দটি শুধু একটি শব্দ নয়, এটি আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।