‘কথা’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত ধারা অনুসরণ করে বাংলা ভাষায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য শব্দ। এসব শব্দের মাঝে ‘কহন্তি’ একটি অনন্য সংযোজন। এই ধাতুজাত শব্দটি প্রাচীন কাল থেকেই বাংলা সাহিত্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কহন্তি শব্দের অর্থ কি
‘কহন্তি’ শব্দটি মূলত ‘কহ’ ধাতু থেকে উৎপন্ন। ‘কহ’ ধাতুর অর্থ হলো বলা। কোন কিছু বলিতে থাকা অর্থে ‘কহন্তি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
কহন্তি শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কহন্তি’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ রয়েছে। যেমন:
- বলেন
- কহেন
- উচ্চারণ করেন
- বর্ণনা করেন
কহন্তি শব্দের ব্যবহার
‘কহন্তি’ শব্দটি সাধারণত কারো কথা বলাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে তৃতীয় পুরুষের ক্ষেত্রে এই শব্দটির প্রয়োগ দেখা যায়। লিখিত ভাষায়, বিশেষ করে প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, কবিতা ইত্যাদিতে এই শব্দটির ব্যবহার বেশি দেখা যায়।
উদাহরণ:
- কবি কহন্তি, “যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।”
- পিতা পুত্রকে কহন্তি, “মিথ্যা বলবে না।”
‘কহন্তি’ শব্দটি একটি ধাতুজাত শব্দ। ধাতু থেকে বিভিন্ন প্রত্যয় যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন শব্দ তৈরি করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ:
- কহন (বিশেষ্য)
- কহা (বিশেষ্য)
- কথক (বিশেষ্য)
- বক্তব্য (বিশেষ্য)
‘কহন্তি’ শব্দ সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন আমাদের সংস্কৃতিতে প্রচলিত আছে।
যেমন:
- যত কথা কহ, তেতো কথা কহ না।
- মনে মনে কহ, মুখে মুখে কহ না।
উপসংহারে বলা যায়, ‘কহন্তি’ শব্দটি একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের ধারক। এই শব্দ এবং এর সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য শব্দসমূহ আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।