সুগন্ধি পদার্থের জগতে, ‘কস্তুরী’ শব্দটি এক বিশেষ আবেদন বহন করে। রূপসজ্জা থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা— বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এই পোস্টে, আমরা ‘কস্তুরী’ শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং এর সাথে সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য খুঁজে দেখবো।
কস্তুরী শব্দের অর্থ কি?
বাংলা ভাষায় ‘কস্তুরী’ বলতে মূলত দুটি অর্থ প্রকাশ পায়।
- মিশক: হরিণ প্রজাতির মধ্যে ‘পুরুষ কস্তুরী মৃগ’ এর নাভিতে এক ধরনের সুগন্ধযুক্ত পদার্থ উৎপন্ন হয় যা ‘মিশক’ নামে পরিচিত।
- মৃগনাভি: মিশক থেকে তৈরি সুগন্ধিকেও ‘মৃগনাভি’ বলা হয়ে থাকে।
কস্তুরী শব্দের সমার্থক শব্দ
কস্তুরীর কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- মৃগমদ
- রেণুকা
- গন্ধরাজ
কস্তুরী শব্দের ব্যবহার
‘কস্তুরী’ শব্দটি বহুমুখী ব্যবহারের জন্য পরিচিত।
১. সুগন্ধি হিসেবে:
কস্তুরী থেকে তৈরি সুগন্ধি প্রাচীনকাল থেকেই অত্যন্ত মূল্যবান। সুগন্ধি তৈরি, ধূপকাঠি, এবং বিভিন্ন প্রসাধনীতে এটি ব্যবহৃত হয়।
২. আয়ুর্বেদে:
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা पद्धति তে, কস্তুরীকে ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে মনে করা হয়। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক চাপ কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়।
৩. সাহিত্যে:
বাংলা সাহিত্যে ‘কস্তুরী’ শব্দটি প্রায়ই সুগন্ধ এবং মোহের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কস্তুরী শব্দটির উৎপত্তি
‘কস্তুরী’ শব্দটি সংস্কৃত ‘কস্তুরী’ থেকে এসেছে।
কস্তুরী শব্দ সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- “ছোট মৌলে বড় সুগন্ধ।” (অর্থাৎ, ছোট জিনিসও অনেক সময় অনেক মূল্যবান হতে পারে)।
উপসংহার:
‘কস্তুরী’ শব্দটি একটি সুন্দর এবং অর্থবহ শব্দ যা আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে জড়িত।