“কলকল” শব্দটি শুনলেই যেন জলের একটা চিত্র আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। যেখানে জলপ্রপাতের জল ঝাঁকুনি দিয়ে পড়ছে, নদীর স্রোত বয়ে চলেছে, অথবা একটি ছোট্ট খালেও জলের যে আন্দোলন তৈরি হয়- “কলকল” শব্দটি সেই সব ধরণের জলস্রোতের একটি অনুষঙ্গ। আজ আমরা এই “কলকল” শব্দটি নিয়ে কিছুটা আলোচনা করব।
কলকল শব্দের অর্থ কি?
বাংলা ভাষায় “কলকল” একটি ধ্বন্যাত্মক শব্দ। এটি মূলত জলের এক ধরণের আওয়াজকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যখন জল কোনো বাধার মুখোমুখি হয়, তখন যে মৃদু শব্দ তৈরি হয়, সেই ধ্বনিকেই “কলকল” বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ঝর্ণা থেকে জল পড়ার শব্দ, নদীর ধারে জলের প্রবাহের তীব্রতা কমে যে আওয়াজ হয় ইত্যাদি।
কলকল শব্দের সমার্থক শব্দ
“কলকল” শব্দের বিভিন্ন অর্থে বিভিন্ন সমার্থক শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু উল্লেখযোগ্য সমার্থক শব্দ হলো:
- ঝর্ঝর
- ছলছল
- জলোচ্ছ্বাস
- জলধ্বনি
- কুলকুল
কলকল শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্যে “কলকল” শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস ইত্যাদি সাহিত্যে জলের এই মনোরম ধ্বনিকে চিত্রিত করতে লেখকরা “কলকল” শব্দটি ব্যবহার করেছেন। শুধু সাহিত্যেই নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও আমরা এই শব্দটি ব্যবহার করে থাকি।
কিছু উদাহরণ:
- ঝর্ণা থেকে “কলকল” ধ্বনি করে জল পড়ছে।
- নদী “কলকল” করে বয়ে যাচ্ছে।
- পাহাড়ি ঝর্ণার “কলকল” ধ্বনি কানে আসছে।
কলবল শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু তথ্য:
- বাংলা উচ্চারণ: kôl kôl (কল্কল্)
- পদের নাম: বিশেষ্য (Noun)
- বাংলা অর্থ: জলে আলোড়ন ঘটিয়ে নড়াচড়া করার দৃশ্য
- ইংরেজি অর্থ: The sound of water flowing or bubbling gently
- ইংরেজি শব্দ: Babble, gurgle, ripple, murmur
“কলকল” শব্দটি একটি সুন্দর ও প্রাণবন্ত শব্দ। এটি আমাদের মাতৃভাষার একটি অমূল্য সম্পদ।