আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অনেক শব্দ আছে যাদের অর্থ, ইতিহাস এবং ব্যবহার সম্পর্কে আমরা অজ্ঞ। “কর্পূর” এমন একটি শব্দ যা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি, বিশেষ করে ধর্মীয় আয়োজনে অথবা ঔষধ হিসেবে। কিন্তু “কর্পূর” শব্দটি কেবল একটি গন্ধদ্রব্যের নাম নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ধারা।
কর্পূর শব্দের অর্থ কি?
“কর্পূর” একটি তৎসম শব্দ, যার উৎপত্তি সংস্কৃত “কৃপ্+উর” থেকে। প্রাকৃত ভাষায় এটি “কপ্পুর” হিসেবে পরিচিত। বাংলায় “কর্পূর” বলে একটি বিশেষ ধরনের গন্ধদ্রব্যকে বোঝায় যা বৃক্ষরস থেকে তৈরি।
কর্পূর শব্দের ব্যবহার
কর্পূর শব্দটি বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়।
- ধর্মীয় অনুষ্ঠান: হিন্দু ধর্মে পূজা-অর্চনায় কর্পূরের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
- ঔষধ: কর্পূর একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক ও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।
- সুগন্ধি: ঘর বা পোশাকের সুগন্ধের জন্য কর্পূর ব্যবহার করা হয়।
- রূপক অর্থে: কর্পূরের ক্ষণস্থায়ী স্বভাবের কারণে এটি “অস্থায়ী” অর্থে রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন, “আমাদেরও পেটের অসুখ আমানউল্লার সৈন্য বাহিনীর মত কর্পূর হয়ে উবে যাবে।”
কর্পূর শব্দের সমার্থক শব্দ
কর্পূরের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- ভাসুর
- হিমবল্লী
- চন্দ্র
কর্পূর সম্পর্কে কিছু তথ্য
- বাংলা উচ্চারণ: কোর্পুর
- পদের নাম: বিশেষ্য (Noun)
- বাংলা অর্থ: বৃক্ষরস থেকে প্রস্তুত গন্ধদ্রব্য
- ইংরেজি অর্থ: Camphor
কর্পূর শব্দটি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই লেখার মাধ্যমে আমরা শুধু একটি শব্দের অর্থই জানতে পারলাম না, বরং এর সাথে জড়িত সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক দিকগুলো সম্পর্কেও অবগত হলাম।