আমরা যখন কথা বলি বা লিখি, তখন আমাদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার জন্য বাক্য ব্যবহার করি। এই বাক্য গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো বাচ্য। বাচ্য ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি বাক্যে ক্রিয়াটি কে করছে, ক্রিয়া কাকে ঘিরে ঘটছে। বাচ্য দুই প্রকার – কর্তৃবাচ্য এবং কর্মবাচ্য। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো কর্তৃবাচ্য।
কর্তৃবাচ্য শব্দের অর্থ কি?
কর্তৃবাচ্য শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত: কর্তৃ+বাচ্য। “কর্তৃ” অর্থ কর্তা এবং “বাচ্য” অর্থ বাক্য। অর্থাৎ যে বাক্যে ক্রিয়ার প্রধান ব্যক্তি বা বস্তু (কর্তা) সর্বাগ্রে থাকে এবং বাক্যের অন্যান্য পদ কর্তার কার্য প্রকাশ করে, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
কর্তৃবাচ্য শব্দের সমার্থক শব্দ
কর্তৃবাচ্য শব্দের কয়েকটি সমার্থক শব্দ হলো:
- কর্তৃকরণ
- কর্তৃত্ববাচ্য
- Active Voice (ইংরেজিতে)
কর্তৃবাচ্য শব্দের ব্যবহার
কর্তৃবাচ্য ব্যবহারের মাধ্যমে বাক্যকে সরল, সাবলীল এবং সহজবোধ্য করে তোলা যায়। কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:
- কর্তৃবাচ্য: রহিম একটি চিঠি লিখেছে।
- কর্মবাচ্য: রহিমের দ্বারা একটি চিঠি লিখিত হয়েছে।
উপরের উদাহরণে প্রথম বাক্যটি কর্তৃবাচ্যে রয়েছে। দ্বিতীয় বাক্যটি কর্মবাচ্যে লিখিত হলেও তুলনামূলক জটিল এবং কঠিন মনে হচ্ছে।
কর্তৃবাচ্য ব্যবহারের কিছু ক্ষেত্র:
- যখন কর্তাকে প্রাধান্য দিতে হয়
- যখন বাক্যকে সরল এবং সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করতে হয়
- যখন কোনো কাজ কে স্পষ্টভাবে বোঝাতে হয়
কর্তৃবাচ্য শব্দ সম্পর্কিত কিছু তথ্য:
- বাংলা উচ্চারণ: কর্তৃবাচ্চো (kortrɪ-baccho)
- পদের নাম: বিশেষ্য (Noun)
- বাংলা অর্থ: যে-বাচ্যে কর্তৃপদ প্রধান।
- ইংরেজি অর্থ: Active Voice
উপসংহার: কর্তৃবাচ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণগত বিষয় যা আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ এবং সুন্দর করে তোলে। কর্তৃবাচ্য ও কর্মবাচ্যের পার্থক্য ভালোভাবে জানা থাকলে আমরা আরও সুন্দর, সাবলীল এবং প্রভাবশালী ভাষায় কথা বলতে ও লিখতে পারব।