“করীষ” – শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গ্রাম বাংলার চিত্র। খড়ের ছাউনির ঘরে ধোঁয়া ওঠা চুলা, আর সেই চুলা জ্বালাবার জন্য ব্যবহৃত শুকনো গোবর। হ্যাঁ, এই শুকনো গোবর কে বাংলায় বলা হয় “করীষ”।
করীষ শব্দের অর্থ কি
“করীষ” শব্দটি মূলত একটি বিশেষ্য পদ। বাংলা ভাষায় এর অর্থ হলো শুকনো গোবর। এছাড়াও “ঘুঁটে” অথবা “ঘসি” অর্থে করীষ শব্দটি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
করীষ শব্দের সমার্থক শব্দ
করীষ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ রয়েছে। যেমন:
- ঘুঁটে
- ঘসি
- গোবর
- গোমূত্র
- ছাই
করীষ শব্দের উৎপত্তি
“করীষ” তৎসম শব্দ। সংস্কৃত √কৃ+ঈষ(ঈষন্) ধাতু থেকে “করীষ” শব্দের উৎপত্তি।
করীষ শব্দের ব্যবহার
বাংলা সাহিত্যে, গ্রামীণ জীবন চিত্রিত কবিতা, গান, গল্প ইত্যাদিতে “করীষ” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও বাংলা ভাষায় এমন কিছু শব্দ রয়েছে যেখানে “করীষ” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
করীষাগ্নি
ঘুঁটের আগুনকে করীষাগ্নি বলা হয়।
করীষ শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না – মানুষের চরিত্রগত ত্রুটি সহজে দূরীভূত হয় না
উপসংহারে বলা যায়, “করীষ” শব্দটি শুধু একটি শব্দ নয় বরং বাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ।