‘কমলিওয়ালা’ শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ধুতি-পঞ্চাবি পরিহিত এক সাধুবাবার ছবি। কিন্তু এই শব্দটির আসলে আরও ব্যাপক অর্থ রয়েছে এবং বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এর বিশেষ স্থান রয়েছে।
কমলিওয়ালা শব্দের অর্থ
‘কমলিওয়ালা’ শব্দটি মূলত দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত:
- কমলি: কম্বলের প্রাচীন রূপ
- ওয়ালা: যার কাছে কিছু আছে
সুতরাং, আক্ষরিক অর্থে ‘কমলিওয়ালা’ হল ‘যার কাছে কম্বল আছে’।
কমলিওয়ালা শব্দের অর্থ (বিশেষণ)
বিশেষণ হিসেবে ‘কমলিওয়ালা’ মানে কম্বল পরিহিত।
কমলিওয়ালা শব্দের অর্থ (বিশেষ্য)
বিশেষ্য হিসেবে ‘কমলিওয়ালা’ দ্বারা বোঝানো হয় কম্বলাবৃত সাধুদেরকে। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর রচনায় এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন – “তারপর এই যে হিন্দু্স্তানের অলিতে গলিতে ‘কমলি-ওয়ালে’ সেজে ফিরে এলুম, সে তো শুধু এই এক ব্যথার সান্ত্বনাটা বুকে চেপেই”।
কমলিওয়ালা শব্দের ব্যবহার
- গ্রামে এখনও অনেক কমলিওয়ালা ফকির দেখা যায়।
- কমলিওয়ালা সাধু সাধারণত ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কমলিওয়ালা শব্দের সমার্থক শব্দ
- কম্বলাবৃত
- কম্বলী
- ফকির
- সাধু
কমলিওয়ালা শব্দের সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন
‘কমলিওয়ালা’ শব্দটি সরাসরি কোন প্রবাদে ব্যবহৃত না হলেও, ‘সাধু’, ‘ফকির’ ইত্যাদি শব্দ নিয়ে অনেক প্রবাদ প্রচলিত আছে।
‘কমলিওয়ালা’ শব্দটি শুধু একটি শব্দ নয় বরং বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতির একটি অংশ।