“তোমার কবোষ্ণ বুকে মাথা রেখে নিদ্রা যেতে চায়” – আবদুল গনি হাজারীর এই কবিতার পঙ্ক্তিটির মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে “কবোষ্ণ” শব্দটির ব্যবহার আমরা দেখতে পাই। কিন্তু “কবোষ্ণ” শব্দটির অর্থ আমরা কতজনই বা জানি? আজ আমরা জানবো “কবোষ্ণ” শব্দটির অর্থ, ব্যবহার, এবং এ সম্পর্কিত আরও কিছু তথ্য।
কবোষ্ণ শব্দের অর্থ কি?
“কবোষ্ণ” শব্দটি একটি বিশেষণ পদ, যা দিয়ে অল্প গরম অথবা ঈষদুষ্ণ ভাব বোঝানো হয়। অর্থাৎ যা একদম গরমও না, আবার ঠান্ডাও না, বরং একটু কুসুম কুসুম গরম, তাকে “কবোষ্ণ” বলা হয়।
কবোষ্ণ শব্দের সমার্থক শব্দ
“কবোষ্ণ” শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- ঈষদুষ্ণ
- কুসুম কুসুম গরম
- নাতিশীতোষ্ণ
- হালকা গরম
কবোষ্ণ শব্দের ব্যবহার
বাংলা ভাষায় “কবোষ্ণ” শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়। নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হল:
- আজ বিকেলে আবহাওয়া খুব সুন্দর এবং কবোষ্ণ ছিল।
- মা আমাকে কবোষ্ণ জলে স্নান করিয়ে দিলেন।
- ডাক্তার বললেন, রোগীকে এখন কবোষ্ণ খাবার দিতে।
কবোষ্ণ শব্দ সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য
- পদের নাম (বাংলায়): বিশেষণ
- পদের নাম (ইংরেজিতে): Adjective
- বাংলা উচ্চারণ: kɔboʃnɔ (কবোশ্নো)
- ইংরেজি অর্থ: Lukewarm, Tepid
- শব্দের উৎপত্তি: “কবোষ্ণ” শব্দটি সংস্কৃত “কু” (ঈষদর্থে) এবং “উষ্ণ” শব্দ দুটির মিশ্রণে তৈরি।
আশা করি “কবোষ্ণ” শব্দটি সম্পর্কে আপনারা পর্যাপ্ত জ্ঞান লাভ করতে পেরেছেন।