“কপোত” শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে শান্ত সৌম্য এক পাখির ছবি। হ্যাঁ, “কপোত” হল বাংলা ভাষায় কবুতরের এক অতি পরিচিত নাম। শুধু কবুতর নয়, এর মাধ্যমে শান্তি, প্রেম, সরলতা ও সৌন্দর্যের প্রতীকী অর্থ প্রকাশিত হয়। কবুতরের মতোই “কপোত” শব্দটিও বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। চলুন, আজ আমরা জেনে নিই এই সুন্দর শব্দটি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
কপোত শব্দের অর্থ
“কপোত” মূলত একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ “কবুতর” বা “পায়রা”। এটি পুরুষবাচক শব্দ হলেও স্ত্রীলিঙ্গ অর্থে “কপোতী” বা “কপোতিনী” শব্দ দুটি ব্যবহৃত হয়।
কপোত শব্দের সমার্থক শব্দ
কপোত শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:
- পায়রা
- ঘুঘু
- পারাবত
- রক্তচক্ষু
কপোত শব্দের ব্যবহার
“কপোত” শব্দটি বিভিন্নভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সাহিত্যে কপোত
- কবিতায়: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত সহ অনেক বিখ্যাত কবি তাদের কবিতায় “কপোত” শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
- গানে: বাংলা লোকগান ও আধুনিক গানেও “কপোত” শব্দটির উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়।
ধর্মে কপোত
হিন্দু ধর্মে, ভগवान শিবের বাহন হিসেবে কপোতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
প্রবাদ-প্রবচনে কপোত
- “কপোতের ন্যায় সরল” – এই প্রবাদটি মানুষের নিরীহ ও সহজ-সরল প্রকৃতিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
কপোত শব্দটির সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
- পদের নাম (বাংলায়): বিশেষ্য
- পদের নাম (ইংরেজিতে): Noun
- বাংলা উচ্চারণ: kɔpoto
- ইংরেজি অর্থ: Pigeon, Dove
পরিশেষে বলা যায়, “কপোত” শুধুই একটি শব্দ নয়, বরং একটি প্রতীক, একটি ভাষা, যা আমাদের মনের ভাব প্রকাশে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আমরা শান্তি, প্রেম, সৌন্দর্য এবং সরলতার মতো বিষয়গুলো অনুভব করতে পারি।