বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ হল “কন্ধ”। এই শব্দটির অর্থ, ব্যবহার এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।
কন্ধ শব্দের অর্থ
“কন্ধ” শব্দটি তৎসম শ্রেণীর অন্তর্গত । এর উৎপত্তি সংস্কৃত “স্কন্ধ” শব্দ থেকে।
- **বাংলা উচ্চারণ:** কন্ধো [kɔn̪d̪ʱo]
- **পদের নাম:** বিশেষ্য (Noun)
- **বাংলা অর্থ:** স্কন্ধ; কাঁধ
- **ইংরেজি অর্থ:** Shoulder
কন্ধ শব্দের ব্যবহার
শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে “কন্ধ” শব্দটি বিভিন্ন প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়।
- শারীরিক অর্থে: মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর বুক ও বাহুর মধ্যবর্তী স্থান বোঝাতে “কন্ধ” শব্দটি ব্যবহৃত হয়।
- **উদাহরণ:** তার কাঁধে ভারী বোঝা।
- রূপক অর্থে: কোনো কিছুর ভার বহন করা অথবা কোনো কাজের দায়িত্ব নেওয়া বোঝাতে “কন্ধ” শব্দটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
- **উদাহরণ:** দেশের ভার তার কন্ধে।
কন্ধ শব্দের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য শব্দ
- কন্ধকাটা:
- মস্তকবিহীন ধড়; কবন্ধ
- হিন্দু ধর্মমতে, একপ্রকার ভূত যারা মস্তকবিহীন।
- স্কন্ধ: (সংস্কৃত) কাঁধ; অংশ; শাখা।
- কাঁধ: (বাংলা) কন্ধের সমার্থক শব্দ।
কন্ধ শব্দ ব্যবহার করে কিছু প্রবাদ-প্রবচন
- কাঁধে মুণ্ডু রাখিয়া সাপের ভয়। (যে বিপদ ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে তার জন্য ভয় পাওয়া বৃথা।)
- কর্ম করতে ভয় পেও না, ভার নিতে কন্ধ ঝুঁকিও না। (কোনো কাজ করতে ভয় পেও না, দায়িত্ব নেওয়া থেকে পিছু হটো না।)
পরিশেষে বলা যায়, “কন্ধ” শুধু একটি শারীরিক অঙ্গের নাম নয়, এটি আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে যুক্ত। এই শব্দটির মাধ্যমে আমরা শারীরিক স্থানের সাথে সাথে রূপক অর্থে ভার, দায়িত্ব, সাহস ইত্যাদি ধারণা প্রকাশ করে থাকি।