কঙ্কণী শব্দের অর্থ কি | কঙ্কণী শব্দের সমার্থক শব্দ | কঙ্কণী শব্দের ব্যবহার

“কি অপূর্ব শব্দে তোমার নূপুর বাজে! যেন সুরের মূর্ছনায় মন ভুলিয়ে দেয়।” এই ধরণের কাব্যিক ভাষায় আপনি কি কখনো নুপুরের ধ্বনির বর্ণনা শুনেছেন? বাংলা ভাষা শুধুমাত্র ভাব প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং এটি এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক। আজ আমরা এমন একটি শব্দ নিয়ে আলোচনা করব যা আমাদের সেই ঐতিহ্যের স্মৃতি বহন করে – ‘কঙ্কণী’।

কঙ্কণী শব্দের অর্থ কি?

কঙ্কণী শব্দের মূল অর্থ নুপুর। নুপুর হল এক ধরনের অলংকার যা নারীরা তাদের পায়ে পরিধান করেন। কিঙ্কিণী ধ্বনির সাথে সাদৃশ্য থাকায় ছোট ঘুঙুরকেও কখনো কখনো কঙ্কণী বলা হয়ে থাকে।

কঙ্কণী শব্দের উৎপত্তি

কঙ্কণী শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ‘কঙ্কণ’ শব্দ থেকে। ‘কঙ্কণ’ শব্দের অর্থ হাতের বালা। ‘কঙ্কণ’ শব্দের সাথে ‘ঈ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে ‘কঙ্কণী’ শব্দের উৎপত্তি।

কঙ্কণী শব্দের ব্যবহার

কঙ্কণী শব্দটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়:

  • নুপুর বোঝাতে: “নৃত্যের তালে তালে তার কঙ্কণী ঝমঝম করে বাজছিল।”
  • ছোট ঘুঙুর বোঝাতে: “পায়ের তোড়া সাথে কিছু ক্ষুদ্র কঙ্কণী লাগানো ছিল।”

কঙ্কণী শব্দের সমার্থক শব্দ

কঙ্কণী শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হল:

  • নুপুর
  • পায়েল
  • ঘুঙুর (ছোট)
  • কিঙ্কিণী

কঙ্কণী শব্দের সাথে সম্পর্কিত প্রবাদ-প্রবচন

কঙ্কণী শব্দের সাথে প্রত্যক্ষভাবে প্রবাদ-প্রবচন না থাকলেও, নুপুর প্রসঙ্গে অনেক রূপক প্রয়োগ দেখা যায় বাংলা সাহিত্যে। যেমন: “যার পায়ে নুপুর, তার নাচন কি আর দেখতে হয়?”

আশা করি ‘কঙ্কণী’ শব্দটি সম্পর্কে এই ছোট্ট আলোচনা আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ করেছে। ভাষার এই সৌন্দর্য আবিষ্কার করে আমাদের মাতৃভাষাকে আরও সমৃদ্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

See also  কুম্ভিপাক শব্দের অর্থ কি | কুম্ভিপাক শব্দের সমার্থক শব্দ | কুম্ভিপাক শব্দের ব্যবহার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *