‘ককুন্দর’! শুনেই মনে হয় না কি যেন একটা রহস্য লুকিয়ে আছে এই শব্দটার মাঝে? আসলে তাই, বাংলা ভাষার এই অদ্ভুত সুন্দর শব্দটির দুটি ভিন্ন অর্থ আছে, যা আমাদের শরীর এবং প্রকৃতি — উভয়ের সাথেই জড়িত।
ককুন্দর শব্দের অর্থ কি?
কোকুন্দর্ (বিশেষ্য)
- নিতন্বের ডান ও বাম ভাগের গোলাকার গর্তদ্বয়।
- কটু-তিক্ত রসাত্মক বৃক্ষ বিশেষ।
১. শারীরিক অর্থে ককুন্দর:
আমাদের নিতম্বের ডান ও বাম পাশে যে দুটি গোলাকার গর্ত থাকে, তাদেরকে বলা হয় ‘ককুন্দর’।
২. উদ্ভিদ হিসেবে ককুন্দর:
একটি বিশেষ রকমের গাছের নাম হল ‘ককুন্দর’। এই গাছের রস কটু ও তিক্ত স্বাদের হয়।
ককুন্দর শব্দের সমার্থক শব্দ:
- কোন্দুর
- কোটরা
- কোন্দরী
ককুন্দর শব্দের ব্যবহার:
- শিশুটি খেলতে খেলতে কোথায় যেন একটা ককুন্দরে পা পড়ে গিয়ে পড়ে গেল। (এখানে ‘ককুন্দর’ শব্দটি গর্ত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে)
- আমাদের গ্রামে এক সময় অনেক ককুন্দর গাছ ছিল। (এখানে ‘ককুন্দর’ শব্দটি উদ্ভিদ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে)
কিছু তথ্য:
- ব্যুৎপত্তি: {(তৎসম বা সংস্কৃত শব্দ) ক+কু+√দূ+অ}
- পদের নাম: বিশেষ্য
- বাংলা উচ্চারণ: kōkundôr
এই ছিল ‘ককুন্দর’ শব্দটি নিয়ে কিছু তথ্য। আশা করি আপনারা এই শব্দটি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।