‘কান্না’ শব্দটির সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। দুঃখ, কষ্ট, ব্যথা, আনন্দ, ক্রোধ, ভয়— নানান অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে কান্নার মাধ্যমে। তবে ‘কান্না’ যখন তীব্র হয়, যখন তা হৃদয় বিদারক কাতরতায় পরিণত হয়, তখন তাকে প্রকাশ করার জন্য আমরা ‘ককানো’ শব্দটি ব্যবহার করি।
ককানো শব্দের অর্থ
‘ককানো’ একটি বাংলা ক্রিয়া পদ। এর অর্থ হলো, কাতর স্বরে ক্রমাগত কান্না করা; বিরামহীনভাবে হাহাকার করা; দম বন্ধ হয়ে আসার পরেও কাঁদতে থাকা। যেমনঃ “শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে মনে হচ্ছিল যেন সে ককিয়ে ককিয়ে মারা যাবে।”
ককানো শব্দের ব্যুৎপত্তি
‘ককানো’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ধ্বন্যাত্মকভাবে। যখন কেউ তীব্র কান্না করে, তখন ‘কক্’, ‘কক্’ -এর মতো শব্দ উৎপন্ন হয়। এই ধ্বনির সাথে মিল রেখেই ‘ককানো’ শব্দের উৎপত্তি।
ককানো শব্দের ধ্বনিগত ব্যাখ্যা
- উচ্চারণ: kɔkano
- ধ্বনি প্রকৃতি: অঘোষ, অল্পপ্রাণ, স্পর্শ
ককানো শব্দের সমার্থক শব্দ
‘ককানো’ শব্দের কিছু সমার্থক শব্দ হলো:
- কাঁদা
- হাউমাউ করা
- আহাজারি করা
- রাঁধানো
- ক্রন্দন করা
- বিলোপ
ককানো শব্দের ব্যবহার
‘ককানো’ শব্দটি সাধারণত তীব্র দুঃখ, কষ্ট, বেদনা প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
কিছু উদাহরণ:
- মায়ের মৃত্যুতে ছেলেটি ককিয়ে ককিয়ে কাঁদছিল।
- দীর্ঘদিন পর প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা হতেই তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে ককিয়ে উঠলেন।
- পরীক্ষায় খারাপ ফলাফলের জন্য শিক্ষার্থীরা ককিয়ে কাঁদছিল।
‘ককানো’ শব্দটি ব্যবহার করে আমরা বুঝতে পারি যে, কান্নাটি শুধুমাত্র চোখের জল ফেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হৃদয়ের গভীর থেকে উৎপন্ন এক তীব্র বেদনার বহিঃপ্রকাশ।
এই পোস্টটির মাধ্যমে ‘ককানো’ শব্দটি সম্পর্কে আপনাদের ধারণা আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে আশা করি।