‘কথা বড়ো মিষ্টি, যদি থাকে লবণের দিব্যি’। কথা যেমন মধুর হতে পারে, তেমনি হতে পারে তীক্ষ্ণ অস্ত্রের মতো। আর সেই কথাকে, বাণীকে এক কথায় যা বলা যায়, তা হলো ‘কউল’। আজকের আলোচনার প্রতিপাদ্য এই ‘কউল’ শব্দটি।
কউল শব্দের অর্থ কি?
‘কউল’ শব্দটি মূলত আরবি ‘করল’ শব্দ থেকে এসেছে। বাংলা ভাষায় ‘কউল’ একটি বিশেষ্য পদ। এর অর্থ হলো কথা, বাণী, বচন।
কউল শব্দের সমার্থক শব্দ
‘কউল’-এর মতো একই অর্থ বহন করে এমন আরও কিছু শব্দ রয়েছে।
- বাক্য
- উক্তি
- কথা
- বচন
- বাণী
কউল শব্দের ব্যবহার
প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে ‘কউল’ শব্দের ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও, আধুনিক বাংলা ভাষায় ‘কউল’ শব্দটির প্রচলন তেমন নেই। তবুও, কিছু ক্ষেত্রে এখনও এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
উদাহরণ:
- “বাবার কউল শুনে সে আর কোনো কথা বলল না।”
- “ঋষিদের কউল অনুসারে, রাজা রাজ্য পরিচালনা করতেন।”
‘কউল’ শব্দটি দিয়ে আমরা বুঝতে পারি, ভাষা কতটা শক্তিশালী হতে পারে। একটি কথা, একটি বাণী, একটি কউল মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দিতে পারে।